বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৩৮ পূর্বাহ্ন
মুন্না শরীফ মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ
স্বাক্ষর জালিয়াতি করে বিবাহ রেজিস্টারের মাধ্যমে লিখি আক্তার স্ত্রী দাবী করে আদালতে মিথ্যা যৌতুক মামলা করার অভিযোগ উঠেছে তালাকপ্রাপ্ত এক নারীর বিরুদ্ধে। ঐ নারী একটি ১০বছরের একটি সন্তান রয়েছে বলে জানা যায়। এব্যাপারে ভুক্তভোগী আমির হামজা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করলে আদালত সিআইডি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার আদেশ দেন।
মামলা সুত্রে জানা যায়- মামলার আসামীগন ভুক্তভোগী আমির হামজার একই এলাকার অধিবাসী এবং রাজনীতি প্রতিপক্ষ হওয়ায় স্থানীয় বিরোধ থাকায় সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন ও আর্থিক ক্ষতি করার লক্ষ্যে ভুক্তভোগী আমির হামজার বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জালিয়াতি করে বিবাহ রেজিস্টার করে লিখি আক্তার স্ত্রী দাবী করে আদালতে যৌতুক মামলা করেছে।
এব্যাপারে বিবাহ, তালাক রেজিস্টার কাজী মোঃ লিয়াকত হোসেন জানান- বিবাহের দিন আমি ঢাকা ছিলাম তবে আমার কর্মী সকল কিছু স্বচক্ষে দেখিয়া আমার কাছে অনুমতি চাইলে আমি বিবাহ করিতে অনুমতি দেই। তবে একথা কিছুক্ষণ পরে অস্বিকার করে আবার বলে, আমি বিবাহে উপস্থিত ছিলাম তবে আইডি কার্ড অস্পট থাকায় আমি আমির হামজা নামে এই লোককে শনাক্ত করিতে পারি নাই। তাই কয়েকজন স্বাক্ষী একজনকে শনাক্ত করিলে আমি তার কাবিন নামায় স্বাক্ষর নিয়ে বিবাহ সম্পুর্ণ করি।
আমির হামজা জানান- তাকে আমি এলাকার বড় বোন হিসাবে জানি, তাছাড়া ঐ নারী একজন তালাকপ্রাপ্ত ও এক সন্তানের মা, আমি তাকে কখনো বিবাহ করি নাই। আমার স্বাক্ষর জালিয়াতি করে টাকার লোভে বিবাহ রেজিস্টার খাতায় স্বাক্ষর করেছে। তারপরও কাবিন নামায় যে স্বাক্ষর আমার না এটা আমার ন্যাশনাল আইডি কার্ড ও ব্যাংকসহ অন্যান্য কাগজপত্রে স্বাক্ষর দেখলে বুঝিবেন।
তাছাড়া আমি একটি ভিডিও দেখেছি সেখানে লিখি আক্তার নামে ঐ নারী বলছে তার বিবাহ হয়েছে ঢাকার আজিমপুর নিউ পল্টন এলাকায় আমার বন্ধুরা উপস্থিত ছিল, এখন আবার বলছে রাজৈর তার নিজ বাড়ীতে বসে এ কাবিন সম্পুর্ন হয়। কতবড় বানোয়াট মিথ্যা কথা চিন্তা করেন। আমি নারীদের সম্মান করে বলতে চাই, আমার বিরুদ্ধে যে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে তার সঠিক বিচার চাই। আমারও পরিবার ও সমাজ রয়েছে, আমাকে কেন হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এ কাজ করা হলো তা আমি আদালতের কাছে বিচার চাই।
লিখি আক্তারের মুঠো ফোনে একাধিকবার ফোন করলেও সে ফোন রিসিভ করেনি তবে তার ভাই মোতালেব মুঠো ফোনে জানান- সবার সম্মুখে আমার বোনের বিয়ে হয়েছে। আমার কাছে প্রমান আছে। আমার বোন সংসার করতে চায়। আমরা মামলা করেছি’ আমার বোনকে মেনে না নেয়ার জন্য।
বদরপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ গোলাম ফারুক জানান- আমার কাছে এলাকার গন্যমান্যরা বলেছে তারা দুইজন বিবাহিত তাই আমি প্রত্যয়নপত্র দিয়েছি।
মাদারীপুর সিআইডি মোস্তফা মহিউদ্দিন জানান- আমাদের কাছে মামলা তদন্ত আসছে’ আমরা তদন্ত শুরু করেছি। তদন্ত শেষে তদন্ত রিপোর্ট দেয়া হবে।